Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ডাঃ নুরজ্জামান চৌধুরী
ডাউনলোড

সেনবাগ উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তি। সততার সাথে দায়িত্ব পালন, উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বেতন ভাতা গ্রহন না করা কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়ী ও বাড়ী ব্যবহার না করা জনপ্রতিনিধি কি বাংলাদেশে পাওয়া যাবে? বর্তমান পেক্ষাপট নয় যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয়, দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশে এমন জনপ্রতিনিধি দেখেছেন কি? তাহলে এক বাক্যে উত্তর আসবে- না, দেখিনি। বর্তমান সময়ে উল্লেখিত গুনাবলীর জনপ্রতিনিধি ও আছেন বাংলাদেশে। মিডিয়া বিমুখ, প্রচারনায় অনাগ্রহী, চুপচাপ, নিরিবিলি স্বভাবের বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী ব্যক্তিটি হলেন বাংলাদেশের নন্দিত জননেতা ওবায়দুল কাদেরেই  হাতেগড়া শিষ্য মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন। অসংখ্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিনকে জননেতা ওবায়দুল কাদের ২০০৮ সালে তার নিজ উপজেলার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করলে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০১৪ ইং সাল পর্যন্ত পূণ মেয়াদের উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন রচনা করেন বিরল এক ইতিহাসের। তিনি পুরো পাঁচ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে এক টাকাও বেতন ভাতা গ্রহণ করেননি। নিজ আপ্যায়নে উপজেলা পরিষদের কোন অর্থ ব্যায় করেননি। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ের আপ্যায়ন বিল পরিশোধ করেছেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে, ব্যবহার করেননি তার জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ী কিংবা গাড়ী শুধু তাই নয় মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য গত উপজেলা নির্বাচনে  চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও হননি। উপজেলা আওয়ামীলীগসহ এলকার গণম্যাান অনুরোধ ও পিরিয়ে দিয়েছেন বিনয়ের সাথে। হাতের কাছে ক্ষমতা পেয়ে এবং সকলের অনুরোধ থাকা স্বর্থেও এলাকায় নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য ২য় বারের মত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী না হয়ে যে উদাহরণ দেখিয়েছেন তা জনপ্রতিনিধেদের জন্য বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া  মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগজ্ঞ উপজেলার বসুরহাট হাইস্কুলের ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৬ ইং সালে তৎকালীন ছাত্রনেতা ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ”জেলের তালা ভাংবো শেখ মুজিবকে আনব” এই শ্লোগানে রাজনীতি শুরু করলে আজ অবদি থামেনি তার রাজনীতি কিংবা সমাজ সেবা। ২০০০ ইং সাল থেকে তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আজ অবদি  একই পদে বহাল আছেন। ষাট এর দশকের তারুন্যদীপ্ত মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ১৯৬৮ ইং সালে ছাত্রলীগের সদস্য পদ গ্রহণ করেন এবং  ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭২ ইং সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন। একই বছর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিভক্তি দেখা দিলে মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন মুজিববাদী ছাত্রলীগে থেকে যান। তখন কোম্পানীগজ্ঞের ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী জাসদ ছাত্রলীগে যোগ দিলে তিনি দৃঢ়তার সাথে মুজিববাদী ছাত্রলীগের হাল ধরেন এবং পরিচিতি লাভ করেন মুজিববাদী শাহাব উদ্দিন হিসাবে। পরর্বতিতে তিনি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজনীতির পাশা পাশি তিনি ব্যবসা বাণিজ্যে মনোনিবেশ করেন। সততা এবং একাগ্রতার কারণে তিনি অল্প সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষমহন। তিনি দেশের অন্যতম আমদানি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান গ্রীন ট্রেড হাউজের কর্ণদার । ২০০০ইং সালে তিনি সরকার কতৃক সি আই পি নির্বাচিত হন এবং ২০০৩-২০০৪ ও ২০০৪-২০০৫  অর্থবছরে জাতীয় রপ্তানী ট্রপি লাভ করেন।

তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দেব। নেপোলিয়নের এই উক্তিকে চরম ভাবে বিশ্বাস করেন মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন। সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে আড়াই একর সম্পত্তির উপর ২০০৯ সালে বসুরহাট পৌরসভায় নির্মান করেন জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদান করে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে। তিনি আবু নাছের চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ও প্রতিষ্ঠাতা । ১৯৯৭ সালে  এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় সিং ভাগ অর্থ প্রদান করেন তিনি। মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের  সঙ্গে জড়িত। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সভাপতি-নোয়াখালী জেলা সমিতি ঢাকা, সভাপতি-আবু নাছের চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি,সদস্য- এফ.বি.সি.সি. আই, বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর আ্যসোসিয়েসন (বাপা), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টিজ,(ডিসিসিআই), বাংলাদেশ ফলমুল সবজি এবং অন্যান্য পন্য রপ্তানীকারক সমিতি প্রভৃতি।